ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জনপদ নাটোর। নাটোর রাজবাড়ি, নাটোরের কাঁচাগোল্লা এবং চলনবিল সম্পর্কে নতুন করে আলোকপাত করার প্রয়োজন পড়ে না। নাটোর সদরের খোলাবাড়িয়াসহ আশপাশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ওষধি ফসল চাষে বিপ্লব হয়েছে। পুষ্টি ও ওষধিগুণে সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল এখন নাটোর থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। চলনবিল থেকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিনাচাষে রসুন চাষের এক অভিনব উপায় উদ্ভাবন করেছেন নাটোরের চাষিরা। সৃজনশীলতার এক অনন্য নজির স্থাপনের পথে নাটোরবাসী। নাটোরের গৌরবময় ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অর্জিত অভাবনীয় সাফল্যগুলোকে আরো বিকশিত ও দৃঢ় ভিত্তি দেওয়ার জন্য কাজ করছেন নাটোরের বর্তমান জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যোগদানের পর থেকে নাটোরের সার্বিক উন্নয়নে তিনি উদ্বুদ্ধ করছেন জেলার আধিকারিকদের। আলোকিত ও অগ্রসর নাটোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের। মাদক, দুর্নীতি, নদী দখল ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। নিজে সৎ ও নির্মোহ থেকে সহকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছেন ব্যক্তি ও কর্মজীবনে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপনে অগ্রণী হতে।
বর্তমান জেলা প্রশাসকের ভাবনায় অগ্রসর নাটোর গড়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে মানসম্পন্ন শিক্ষা। এজন্য সদরের পাঁচটি বিদ্যালয়ে (কালেক্টরেট, বালক, বালিকা, নববিধান ও বনলতা বিদ্যালয়) পাইলটিং করা হচ্ছে।
উত্তরা গণভবনকে একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হচ্ছে। এর আওতায় গণভবনের বহিরাঙ্গনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে গণভবনের অবয়বে পর্যটন মোটেল কাম মার্কেট স্থাপন, লেক উন্নয়ন ও দৃষ্টিনন্দন করা, ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ, ঘাট সংস্কার, ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ, রাজা-রানীর ব্যবহূত হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার করা, রাজা-রানীর ব্যবহার্য সামগ্রী সংরক্ষণ ও দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের জন্য একটি সংগ্রহশালা/জাদুঘর স্থাপন করা হচ্ছে। মূল প্যালেস, কুমার প্যালেস ও ইটালিয়ান গার্ডেন ছাড়া পুরো গণভবন অঙ্গন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।